স্বদেশ ডেস্ক: গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বাঘাইছড়ির ৬টি গ্রামের এক হাজার মানুষ। বারিবিন্দু ঘাটের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
এ দিকে টানা ছয়দিনের মতো হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টি অব্যাহত আছে। বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বেড়েছে ৮৩ এমএসএল (মীনস সী লেভেল) অবস্থান করছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় প্রতিনিয়ত পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন থেকে ২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পাহাড়ী ঢলে কাচালং নদীর পানি বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ায় আশংকা রয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আহসান হাবিব জিতু।
তিনি জানান, তুলাবান, বারিবিন্দুঘাট, মধ্যম ডেবার পাড়া, মুসলিম ব্লক, পুরান মারিশ্যা, মাষ্টার পাড়া বটতলী এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এলাকাগুলোতে খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ হতে আশ্রয়কেন্দ্র খোলার পর প্রায় তিন শ’ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। অনেকেই আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
বাঘাইছড়ি পৌরসভার মেয়র জাফল আলী খান জানান, পৌরসভার অনেক এলাকায় মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। টিউবওয়েলগুলো ডুবে যাওয়ায় খাবার পানির সংকট আছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসবেন তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আহসান হাবিব জিতু জানান, দ্রুতগতিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বৃষ্টি না কমলে আরও অনেক এলাকা প্লাবিত হতে পারে। নদীতে স্রোতের কারণে ত্রাণ এখনো পৌঁছেনি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাবারের ব্যবস্থা করছেন। পৌর এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বাজার থেকে খাবার কিনে সরবরাহ করা হচ্ছে।